যশোরের রাজারহাট দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার হাট। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী নাটোরের বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচা-কেনা করেন এখানে।
কিন্তু ট্যানারি মালিক ও মহাজনদের কাছে থাকা বকেয়া আদায় না হওয়ার পাশাপাশি লবণের মূল্যসহ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিতে চামড়ার ব্যবসা নিয়ে হতাশ তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বকেয়া টাকা প্রাপ্তির পাশাপাশি ঋণ সুবিধা পেলে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারতেন। একইসঙ্গে বাজার চাঙ্গা করতে ইউরোপের বাজার ধরতে সরকারি উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
চামড়ার বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ও পাচার রোধে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়বে, মূল্য নির্ধারণ বৃহস্পতিবার: উপদেষ্টা
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অঞ্চল থেকে কোনো চামড়া পাচার হবে না। চামড়া নিয়ে যেন কোনো নৈরাজ্য না হয়, চামড়া যেন পচে না যায়, শৃঙ্খলার সঙ্গে যাতে বেচাকেনা হয় সে ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আছে।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির দেয়া তথ্য মতে, হাটটিকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার ছোট বড় ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। ঈদ পরবর্তী প্রায় শত কোটি টাকার চামড়া হাতবদল হয় এখানে।