প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসব পাওয়া গেছে বলে মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের পুলিশ প্রধান দাতুক আদজলি আবু শাহ। তিনি জানান, বিপুল পরিমাণ এই অর্থ জোগাড় করতে এসব অভিবাসীরা তাদের জমিজমা, বাড়ি ও গবাদি পশু বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু এত টাকা দেয়ার পরও প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাদেরকে।
রোববার (৯ নশ্বের) মালয়েশিয়া পুলিশ জানায়, মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি অভিবাসী বোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বহু মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত এবং এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কেদাহ রাজ্যের পুলিশ প্রধান আদজলি আবু শাহ জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের নাগরিক, দুইজন রোহিঙ্গা পুরুষ এবং একজন বাংলাদেশি পুরুষ রয়েছেন। আর উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি একজন রোহিঙ্গা নারীর।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, নিখোঁজ শতাধিক
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কেদাহ ও পেরলিস অঙ্গরাজ্যের সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল রোমলি মোস্তফা বলেন, তিন দিন আগে মিয়ানমারের বুথিডং এলাকা থেকে একটি বড় নৌকা প্রায় ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
পুলিশ প্রধান আদজলি আবু শাহ বলেন, মালয়েশিয়াগামী অভিবাসীরা প্রথমে একটি বড় নৌকায় যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু সীমান্তের কাছে পৌঁছালে কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে তাদের তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ করে দেয়া হয়, প্রত্যেক নৌকায় প্রায় ১০০ জন করে ছিল।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ৯০ জনকে বহনকারী নৌকাটি তিন দিন আগে উল্টে গেছিল।’ তিনি আরও জানান, বাকি দুটি নৌকার কী হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি, তবে উদ্ধার অভিযান চলছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে তাদের প্রায় এক মাস সময় লেগেছিল। নৌকাডুবির পর তারা অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় তিন থেকে চার দিন ধরে সমুদ্রে ভেসে ছিলেন। তারা আরও জানান, তাদের প্রথমে একটি বড় নৌকায় করে নেয়া হয়। এরপর তা থেকে তিনটি ছোট নৌকায় তুলে দেয়া হয়। প্রতিটি নৌকায় প্রায় ৯০ থেকে ১০০ জন আরোহী ছিল।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·