সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চাকসু নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য সচিব ড. একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছি। সেখানে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
সদ্য প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রয়েছেন ২২২ জন এবং পিএইচডিতে রয়েছেন ১২৬ জন সব মিলিয়ে ৩৪৮ জন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি এমফিল-পিএইচডি শিক্ষার্থী রয়েছেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে। অনুষদটিতে এমফিল শিক্ষার্থী ১০৬ জন এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী ৬০ জন। এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে আরবি বিভাগে এখানে এমফিল শিক্ষার্থী ৫৯ জন এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী ৩১ জন।
আরও পড়ুন: চাকসু: প্রথমদিনে মনোনয়নপত্র বিক্রি হলো কতটি?
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে এমফিল ৪১ ও পিএইচডি ১৬ জন, বিজ্ঞান অনুষদে এমফিল ২০ ও পিএইচডি ২১ জন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে এমফিল ২২ ও পিএইচডি ১৫ জন, জীববিজ্ঞান অনুষদে এমফিল ১৭ ও পিএইচডি সাত শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এমফিল ১০ এবং পিএইচডি ৫ জন, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের অধীনে মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে এমফিল ৬ এবং পিএইচডি দুজন শিক্ষার্থী আছেন।
এ দিকে, আজ ১৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের মোট ১৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: চাকসুর মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু, জমার শেষ দিন বুধবার
এর আগে, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য নিজ খরচে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
চাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি এবং প্রতিটি হল সংসদের ১৬টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৩৪ জন। আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।