বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ভিত্তিতে অত্যন্ত সফলভাবে একটি জাঁকজমকপূর্ণ সমাবর্তন আয়োজন করেছি। এরপর আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয় ছিল চাকসু নির্বাচন। আশা করি এটাও সফলভাবে সম্পন্ন হবে। তবে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সফলভাবে চাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। এতে আমরা সবাই নতুন ইতিহাসের স্বাক্ষী হবো। আমি সকলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন আমাদের কাছে জাতীয় নির্বাচনের মতোই। এজন্য এটাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ হলগুলোতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নিয়মিত টহল দেয়া এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হল প্রভোস্ট ও নিরাপত্তা দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমান সকল শিক্ষার্থীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু চাকসু নির্বাচন। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে। আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচনের আচরণবিধি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সভা করেছি। শিক্ষার্থীদের থেকে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আশা করি, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন
চাকসু নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য সচিব প্রফেসর ড. এ.কে.এম. আরিফুল হক সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বিভিন্ন মতামত পেশ করেন। পরে চবি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যগণ বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় এবং কোন স্পটে কতজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন, সেসব তথ্য পেশ করেন।