চাকরির নামে ঘুষ: পঞ্চগড়ে ২ প্রধান শিক্ষক বহিষ্কার

২ সপ্তাহ আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পঞ্চগড়ে দুই প্রধান শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ নভেম্বর) জেলা শহরের সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে আয়োজিত দুদকের গণশুনানিতে কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।


বহিষ্কৃত দুই প্রধান শিক্ষক হলেন: পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল এবং বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায়।


আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বহিষ্কার


ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, ডাঙ্গাপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নৈশ্য প্রহরীর পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরবর্তীতে তিনি চার লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেননি।


গণশুনানিতে অভিযোগের মুখে ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করলে দুদক কমিশন তাকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি বকেয়া ৮০ হাজার টাকা আল আমিনকে না দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।


আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে বই-মোবাইল, ৯ শিক্ষক বহিষ্কার


অন্যদিকে, বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায় চার বছর আগে দফতরি পদে নিয়োগ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নাসরিন আক্তার নামে এক নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেন। দীর্ঘদিন ফেরত না পাওয়ায় নাসরিন আক্তার গণশুনানিতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ জানাজানি হওয়ার পর ঝরেন রায় গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) তড়িঘড়ি করে টাকা ফেরত দেন। শুনানিতে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করায় তাকেও সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেয় কমিশন।


পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ জানান, দুদকের নির্দেশ অনুযায়ী দুই প্রধান শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা সরাসরি বহিষ্কার করতে পারি না, তাই বিষয়টি অধিদফতরে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন