ইতালির ফুটবলের মান দিনে দিনে তলানিতে নামছেই। ২০০৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের চার আসরে দুবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বাকি দুবার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোয় বসবে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। সেই বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই নরওয়ের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে ইতালি। এই হার ইতালিয়ানদের জন্য একটা সতর্কবার্তা বলা চলে। গত দুই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়া ইতালি নিজেদের চেনারূপে না ফিরলে হয়তো টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে আজ্জুরিদের দেখা যাবে না।
এই হারে ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্প্যালেত্তির আসন নড়বড়ে হয়ে গেছে। গ্যাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তের দাবি, নরওয়ের কাছে যেভাবে ইতালি হেরেছে তাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ইতালির ফুটবল ফেডারেশন এবং সংস্থাটির প্রধান গ্যাব্রিয়েলে গ্রাভিনা এই মঙ্গলবার (১০ জুন) কোচের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসছেন। এই বৈঠকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং কোচের পদ থেকে স্প্যালেতিকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
আরও পড়ুন: কাতার জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাবিল
আগামী মঙ্গলবার মলদোভার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচের পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কোরিয়েরে দেল্লে স্পোর্ত জানিয়েছে, সেই ম্যাচের ফল যাই হোক স্প্যালেত্তির চাকরি হারানোর ঝুঁকি ভালোমতোই আছে। কোয়ালিফায়ারের বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো ফল নিয়ে আসার জন্য ডাগআউটে সম্ভাব্য বিকল্পগুলো নিয়েও ভাবছে ইতালির ফুটবল ফেডারেশন।
এদের মধ্যে প্রথম নামটি ক্লদিও রানিয়েরির। সদ্যই রোমার টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ ছেড়ে স্পোর্টিং ডিরেক্টরের পদে বসেছেন এই কিংবদন্তি। এরই মদ্যে দ্বিতীয়বারের মতো কোচিং থেকে অবসরের ঘোষণাও দিয়েছেন রোমা ও লেস্টার সিটির এই সাবেক কোচ। কিন্তু এরপরও অনেকেই জাতীয় দলের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেয়ার পক্ষপাতী। কখনোই ইতালি জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন না করা এই কোচ প্রস্তাব পেলে অবসর ভেঙে ফিরে আসবেন বলে আশাবাদী তারা। এরই মধ্যে রানিয়েরিকে কোচ বানানোর জন্য ইতালির সমর্থকরা নান রকম ক্যাম্পেইন শুরু করে দিয়েছে।

আরেকটি বিকল্প হতে পারেন রবার্তো মানচিনি। সৌদি আরবের কোচ হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময় দায়িত্ব পালন করে এই মুহূর্তে ফ্রি আছেন ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই কোচ। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ইতালির কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন মানচিনি। তার সময়ে কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হলেও ২০২১ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি।
আরও পড়ুন: এবার করোনায় আক্রান্ত নেইমার
ইতালির জন্য এখন প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে মলদোভাকে যত বেশি গোলে সম্ভব হারানো। বাছাই পর্বে গ্রুপ 'আই'তে ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নরওয়ে। তাদের গোল ব্যবধানও দারুণ (+১০), অন্যদিকে এক ম্যাচ খেলা ইতালির গোল ব্যবধান -৩। নভেম্বরে নরওয়ের সঙ্গে ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের আগে এই ব্যবধান কমিয়ে আনাই লক্ষ্য ইতালির।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। রানার্সআপ দলগুলোকে প্লে-অফে অংশ নিতে হবে।
]]>