সম্প্রতি সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর থেকেই, এটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে রোববারও (১ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ঈদের আগেই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়ে, ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, দাবি না মানলে, সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিন মিছিল নিয়ে খাদ্য ও ভূমি, পরিবেশ ও বন এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেন ঐক্য ফোরাম নেতারা।
আরও পড়ুন: আজও বিক্ষোভ করল সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, এটি কোনো একক উপদেষ্টার বিষয় নয়। সচিবদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এটি নিয়ে পর্যালোচনা করছে।
অধ্যাদেশটির কিছু ধারা অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। বাতিল না করে অধ্যাদেশটি রেখেই, কোথায় কিভাবে সংশোধন করা যায়, সেটি বিবেচনায় নেয়ার কথা বলেন তিনি।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশে ‘ত্রুটি’ থাকার কথা স্বীকার করে ফাওজুল কবির খান বলেন, এই অধ্যাদেশের যে অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন। এটার যে ইনহেরেন্ট ডিফেক্ট আছে সে বিষয়ে আমরা সচেতন।
সচিবালয়ের আইন কানুন মেনে এবং কর্মপরিবেশ ঠিক রেখেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেন উপদেষ্টারা।