বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে মল্লিকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধের কারনে মল্লিকা কমিউটার ট্রেনটি ৩৫ মিনিট লেটে ১০টা ৫০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
ট্রেন অবরোধ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমানসহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, একই দাবিতে বুধবার (১৪ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে আগামীকাল আবারও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী চারটি আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু, পদ্মা, সিল্কসিটি ও মধুমতি এক্সপ্রেস চলাচল করে। অথচ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এই ট্রেনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একমাত্র ট্রেন হিসেবে চলাচল করে বনলতা এক্সপ্রেস। রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও আঞ্চলিক বৈষম্য মনোভাবের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী রেল যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল্লাহ জানান, আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি উপস্থাপন করলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে প্রায় ৩৫ মিনিট পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।