বুধবার (০৭ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে দুদক কর্মকর্তারা।
আটকের পর তাদের সদর মডেল থানায় সোপর্দ করেছে দুদক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।
আরও পড়ুন: শেরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
দুদক কর্মকর্তা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করে তিনজন দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তারা একেকটি লাইসেন্সের জন্য সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা আদায় করতো। এমনকি এই টাকার ভাগ তারা বিআরটিএ কর্মকর্তাদের দেয়া হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিআরটিএ'র কর্মকর্তারা।
দুদক কর্মকর্তা আমির হোসাইন আরও জানান, দালাল চক্র কোন কর্মকর্তাকে টাকার ভাগ দেয়, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক।
এদিকে, আটককৃত নাম-পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান। তিনি জানান, এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এমনকি মুচলেখা দিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনা বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
তবে দালাল চক্রের সাথে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন, বিআরটিএ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহজামান হক। তিনি জানান, বিআরটিএ'র সকল কাজ এখন অনলাইনে হয়। অনিয়ম করার সুযোগ নেই। দালাল ছাড়াই যেকেউ নিজেই কাজ করতে পারবেন। এরপরেও কেউ যদি স্বেচ্ছায় দালালকে টাকা দিয়ে সেবা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হন, সেই দায় সম্পূর্ণ তার নিজের।