সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালেগোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ির শুকনাছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধাওয়া দিয়ে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সদস্য বিদ্যুৎ চাকমাকে (৪৪) আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় অপর চার সদস্য পালিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়েছে একটি দেশীয় লাইটগান (এলজি), ২ রাউন্ড এ্যামুনেশন, ৩টি শপিং ব্যাগের মধ্যে চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত চার্জারসহ মোবাইল ফোন, আদায় করা নগদ অর্থ, চাঁদা আদায়ের রশিদ, চাঁদা আদায়ের নোটবুক।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র আরও জানায়, সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে গোয়েন্দা সূত্রে শুকনাছড়া এলাকায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপে সশস্ত্র সদস্য দীঘিনালা-বাঘাইহাট রাস্তায় চাঁদা আদায় করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন বাঘাইহাট জোন সদর থেকে মেজর মো. আবু নাঈম খন্দকারে নেতৃত্বে একটি টহল দল এবং পুলিশের সমন্বয়ে দুই ভাগে বিভক্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ চাঁদা আদায়কারীকে দেখতে পায়। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দলকে দেখতে পেয়ে চাঁদা আদায়কারীরা পলায়নের চেষ্টা করে ও পাহাড়ের উঁচু হতে নিচের দিকে লাফিয়ে পড়ে। মেজর নাঈম তাদের আটকের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার পাশে পাহাড় থেকে নিচের দিকে লাফিয়ে পড়ে এক সদস্যকে ধাওয়া করে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আরও দুইজন সৈনিক পাহাড়ের নিচে লাফিয়ে পড়ে মেজর নাঈমের সঙ্গে। তারা বিদ্যুৎ চাকমাকে আটকে সহায়তা করে। এ সময় অপর ৪ চাঁদা আদায়কারী পাহাড়ের নিচে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে জেএসএসের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী আহত
আটক বিদ্যুৎ চাকমার কাছ থেকে ৩টি শপিং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাগের মধ্যে চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত চার্জারসহ মোবাইল ফোন, আদায় করা নগদ অর্থ, চাঁদা আদায়ের রশিদ, চাঁদা আদায়ের নোটবুক উদ্ধার করা হয়।
বিদ্যুৎ চাকমাকে আটক করে জোন সদরে নিয়ে আসা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জোন সদর থেকে মেজর নাঈমের নেতৃত্বে টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা তল্লাশির এক পর্যায়ে তাদের ফেলে যাওয়া একটি লাইটগান (এলজি) এবং ২ রাউন্ড এ্যামুনেশন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।