শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম। তিনি জানান, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে রিপন ওরফে রিংকু নামে এই আসামিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বিগত ২০১৮ সালে ২৪ জানুয়ারি রাতের কোনো এক সময় হায়াতের নেছা (৫০) নামে ওই নারীর বসতঘরে ঢুকে রিংকু ও তার আরেক সহযোগী শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে। পরে তার শরীর থেকে স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন নিয়ে চম্পট দেয় ঘাতকরা।
ঘটনার শিকার হায়াতের নেছার বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বড়ালি এলাকায়। বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রুবেল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনার কোনো কিনারা করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। তার দীর্ঘ ৭ বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান কবির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন এবং প্রধান আসামি রিংকু (৩৮) গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম আরো জানান, মূলত তিনিই পুরো মামলার কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের বিচারিক আদালতে আসামি রিংকুকে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় হায়াতের নেছাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন অভিযুক্ত রিংকু। চুরির উদ্দেশ্যে হায়াতের নেছার বসতঘরে ঢুকে রিংকু ও তার আরেক সহযোগী। কিন্তু ওই নারী তাদের চিনে ফেলায় শেষ পর্যন্ত হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আসামি রিংকুকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।