গত ৪ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬টি টহল দল পুরো অভয়াশ্রম পরিদর্শন করে। এ সময় বেশ কিছু নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মাছ ধরার নৌকা জব্দ ও ৫ জন জেলেকে আটক করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান, টহল দল দেখে অনেক জেলে নদীতে জাল ফেলে পালিয়ে পাশের চরগুলোতে আশ্রয় নেয়। তবে আগের বছরের তুলনায় এবার নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা অনেক বেশি জোরালো। ফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম এখন পর্যন্ত সফলভাবে চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
দেশের বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘এখন আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমা চলছে। এ সময় মা ইলিশ ঝাঁক বেঁধে সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে আসে ডিম ছাড়ার জন্য। যদি ১০ শতাংশ ডিমও রক্ষা করা যায়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ উৎপাদন নিশ্চিত হবে।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিষধর সাপের কামড়ে প্রবাস ফেরত যুবকের মৃত্যু
এদিকে, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, সরকারি তালিকায় থাকা ৪৩ হাজার জেলের পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৬১৫ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জেলে জাল ও নৌকা তৈরিতে ঋণ নিয়েছেন। তাই ব্যাংক, এনজিও ও সমিতিগুলোকে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বরফ কল ও নদীপাড়ের মাছের আড়তগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের সব অভয়াশ্রম ও সাগরে মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
]]>