সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ দিবস পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের ইতিহাস শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ছিল সাহস, প্রতিবাদ এবং বিশেষ করে নারীর দৃঢ়চেতা ভূমিকার এক অনন্য দলিল। আমাদের শিক্ষার্থীদের উচিত সেই চেতনা লালন করে দেশ ও সমাজের জন্য অবদান রাখা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, এই ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে নিজেদের শিকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। নারীকে মর্যাদা দেয়া ও তার অধিকার নিশ্চিত করা একটি সভ্য জাতির অগ্রযাত্রার পূর্বশর্ত।
আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া। তিনি বলেন, নারীর অগ্রযাত্রা শুরু হয় শিক্ষালয় থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সময়োপযোগী উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: সব দলের নেতাকর্মীদের বক্তব্য ও স্লোগানে শালীনতা বজায় রাখার আহ্বান চরমোনাই পীরের
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। তারা ‘জুলাই আন্দোলন’ ও ‘জুলাই বিপ্লব’-এর তাৎপর্য, স্মৃতি ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বিপ্লব ও বিদ্রোহ বিষয়ক কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হকের নির্মিত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে জুলাই-২৪ আন্দোলনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান, সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা এবং নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য দফতরের পরিচালক নাজিম উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাইফ ও আরশি খন্দকার।
]]>