এরই ধারাবাহিকতায় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদ হিসেবে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নাম পাল্টে রেখেছেন— ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা দেখেছি প্রশাসনিক ভবনে নিয়োগ বাণিজ্য চলছে। আবার একজন রাজনৈতিক নেতা নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদার বলে দাবি করছেন। এজন্যই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের নাম বদলে দিয়েছি।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের এলাকার মালিক, আমরা হলাম জমিদার। জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের সম্মান না করে, আমরা জনগণ নিয়ে যা ব্যবস্থা করা দরকার করব, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: চবিতে সহিংসতাকে প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির ‘চরম ব্যর্থতা’
শুক্রবার রাতে তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জিরো পয়েন্ট, এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে সমবেত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। সমালোচনার মুখে পরে সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সিরাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী।
এ ঘটনায় চবি বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আমাদের কর্মসূচি ছিল প্রতিবাদী গ্রাফিতি অঙ্কন। প্রশাসনিক ভবনের নাম মুছতে গেলে সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী আপত্তি জানান। তবে আমরা নাম পরিবর্তন করেই দিয়েছি।’
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেনো তারা এটা করছে। তারা জানিয়েছে, প্রশাসন তাদের কোনো দাবি শুনছে না। তাই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে তারা এটি লিখেছে। আমরা আর তাদের জোর করতে পারিনি।