চবিতে চীনের অর্থায়নে ‘কনফুসিয়াস সেন্টার’ স্থাপনের চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

৩ দিন আগে
চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কনফুসিয়াস সেন্টার’। এ নিয়ে চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর ২০২৫) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।


এর আগে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৫ দিনের চীন সফরে গিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন।


আরও পড়ুন: চবিতে স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালু


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ০.৫ একর জায়গা তাদের দেয়া হবে। এরপর চীনের ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এখানে একাডেমিক ভবন তৈরি করা হবে। এটি হলো দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতির এক্সচেঞ্জ ও সম্প্রসারণ।’


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ কীভাবে উপকৃত হবে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে কনফুসিয়াস সেন্টার নতুন নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেই এটি চালু হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরটা একটু আলাদা হবে। এখানে ভাষার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম হবে। চাইনিজরা আমাদের এখানে অর্থ খরচ করে পড়তে আসবেন কিন্তু আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চীনে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাবেন।’


আরও পড়ুন: চবিতে পোষ্য কোটা বাতিল, ভর্তি যোগ্যতার জিপিএ কমলো ০.৫ পয়েন্ট


সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘এ কাজটি তিন-চার বছর ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা চুক্তিটা সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমরা তিনজন তাদের আমন্ত্রণে গিয়েছি। এবার চূড়ান্তভাবে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এই কনফুসিয়াস সেন্টারের মাধ্যমে আমরা শুধু চাইনিজ ভাষা শিখবো না বরং আমরাও তাদের বাংলা শেখাবো। ২০২৬ এর অক্টোবরের মধ্যে আমরা এটা চালু করবো।’


প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হৃদয় তরুয়া ভবনের ৩-৪ টি কক্ষ নিয়ে কাজ শুরু করবে কনফুসিয়াস সেন্টার। পরবর্তীতে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন