চবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নিলস-এলইবি ছায়া জাতীয় আইনসভা’

১ দিন আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস (নিলস) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার এবং লিগ্যাল এম্পাওয়ারমেন্ট বাংলাদেশের (এলইবি) আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী নিলস-এলইবি ছায়া জাতীয় আইনসভা-২০২৫।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। 


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ আইনসভায় দেশের প্রথম ছায়া সংসদ গঠন করা হবে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সংসদ সদস্য হিসেবে বিভিন্ন আসনের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আইন সংস্কারের মাধ্যমে দেশে আইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদের আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন দেশের ৪০টি পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আইন বিশেষজ্ঞরা। 


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিলস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার সভাপতি রাব্বি তৌহিদ, লিগ্যাল এমপাওয়ারম্যান্ট বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মো. খাইরুল ইসলাম এবং লিগ্যাল এমপাওয়ারম্যান্ট বাংলাদেশের হেড অব টিম লিগ্যাল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইয়াছের।

আরও পড়ুন: চবি থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত রয়েল মিনিবাস সার্ভিস চালু

লিখিত বক্তব্যে আয়োজকরা বলেন, আইনসভায় তিনটি সংসদীয় ঘর থাকবে। প্রথম সংসদীয় ঘরে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর সীমাবদ্ধতা এবং যুগোপযোগী সংস্কারের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। দ্বিতীয় সংসদীয় ঘরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর সীমাবদ্ধতা এবং বিদেশে অর্থ পাচার প্রতিরোধের সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে। তৃতীয় সংসদীয় ঘরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর কার্যকারিতা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আইনটি আরও কার্যকর করার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।


আয়োজকরা আরও জানান, এই সম্মেলন শিক্ষার্থীদের সংসদীয় আচরণ, আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া এবং সমসাময়িক আইনি সমস্যাবলীর বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা দেবে। পাশাপাশি গবেষণায় আগ্রহ বাড়ানোসহ যুক্তিবোধ উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দক্ষ আইনবিদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সম্মেলন একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হবে একটি যুগান্তকারী অভিজ্ঞতা, যা দেশের আইনি কাঠামোকে ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন