রোববার (৮ জুন) দুপুর ২ টায় এ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে তারা। এর আগে ঈদের দিন দুপুরে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজ এবং ক্যাম্পাসের পাশের এলাকার মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস উপহার দেন তারা।
পাশাপাশি কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
ক্যাম্পাসের চারটি হলে মুসলিম ও অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রদের জন্য যথাক্রমে সোহরাওয়ার্দী হল ও অতীশ দীপঙ্কর হলে এবং ছাত্রীদের জন্য যথাক্রমে শামসুন্নাহার হল ও নবাব ফয়জুন্নেছা হলে এ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়।
ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘প্রতিবছরই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বাস্তবতায় অনেক শিক্ষার্থী ঈদ উদযাপন করে। তাদের ঈদকে উপভোগ্য করতে ছাত্রশিবির সাধ্যানুযায়ী প্রতিবছর বিভিন্ন আয়োজন রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সম্মানে ঈদের দিন এবং আজকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ক্যাম্পাসের পাশের এলাকার মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস উপহার দিয়েছে। ঈদের পূর্বের জুমার সালাতে খতিবদের মাধ্যমে ক্যাম্পাস এলাকায় কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেয়া হয় এবং ঈদের দিন বিকেলে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে আগামীতেও কাজ করে যাব।’
আরও পড়ুন: চবিতে ঈদে শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন শিবিরের
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিয়মিত কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারিনি। জুলাই গণবিপ্লব পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক আয়োজন করে আসছি। ভবিষ্যতেও আমরা এধরনের কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে পরিচালনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’
এছাড়াও ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে ঈদের দিন শিক্ষার্থীদের জন্য ভোজের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত জেনে আমরা ঈদের দ্বিতীয় তথা আজকে আমাদের আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, প্রশাসন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন কোন আয়োজন রাখেনি। একারণে আমরা তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নিয়ে ঈদের দিন দুপুরে অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীর জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমাদের পরপর দুইদিনের আয়োজন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’