বুধবার (৩০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরে চন্দ্রিমা মডেল টাউন হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছে রাজউকের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আগেও রাজউক অভিযান চালিয়ে নির্দিষ্ট দুই থেকে তিনটি ভবন ভেঙে চলে যায়। ভাঙা-গড়ার খেলা না খেলে স্থায়ী সমাধান চান ভবন মালিকরা।
রাজউক বলছে, হাউজিংটির যেসব সুবিধা থাকা প্রয়োজন তা না থাকায় এটির কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি। অভিযানে সাতটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে সাভারেও একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে রাজউকে। দুপুরে সাভার সদর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকায় অনুমতিবিহীন চারতলা নির্মাণাধীন ভবনের নকশার বাইরে নির্মিত অংশ ভেঙে ফেলা করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে অনুমোদনহীন বহুতল ভবনে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান
এ বিষয়ে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা পারভিন বলেন, ‘ড্যাবের আওতাধীন এলাকায় অনুমোদনহীন প্রায় তিন হাজার ৩০০টি স্থাপনা রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এসব স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।’
রাজউক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিটেল এরিয়া প্ল্যানের আওতাভুক্ত এলাকায় যেকোনো বহুতল ভবন নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন আবশ্যক। ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।
রাজধানীকে বর্ধিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালেই মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোকে ডিটেল এরিয়া প্লানের (ড্যাব) আওতায় আনা হয়।