নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। তবে শুক্রবার (৬ জুন) ঈদযাত্রার শেষ দিনেও হাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে এসে গাড়ির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের পাশাপাশি পরিবহন সংকট চরমে। এতে ঘরমুখো মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
জ্যামের কারণে গতকাল রাতে যারা যেতে পারেননি তাদের অনেকেই সড়কের পাশে রাত কাটিয়েছেন। আবার কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছিলেন আশপাশের মসজিদে। সকাল হতে আবারও নেমে পরেন যাত্রা যুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তিতে ঘরমুখো যাত্রীরা
চন্দ্রায় অবস্থিত বিসমিল্লাহ হোটেলের কর্মচারী রুবেল মিয়া সময় সংবাদকে বলেন, ‘সারারাতই ঘরমুখো মানুষ সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন। সড়কে রাত কাটানোর পাশাপাশি মসজিদেও ঘুমিয়েছেন অনেকে। মসজিদে জায়গা পর্যন্ত ছিল না। জায়গা না পেয়ে অনেকেই আমাদের হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল।’
সরেজমিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দেখা যায়, আজও গাড়ি না থাকায় হাজার হাজার যাত্রী সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে, মোটরসাইকেল, পশুবাহী ট্রাক পিকআপে বাড়ি ফিরছেন।
যান চলাচলেও নেই স্বস্তি। শুক্রবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় প্রায় ২০ কিলোমিটার পথজুড়ে তৈরি হয়েছে। পরে বিপরীতে পাশের লেন বন্ধ করে ঘরমুখো মানুষের যান চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। নাওজর হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সড়কে যাত্রীদের চাপ এখনও কমেনি। যানবাহন সংকটে ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।'
]]>