চট্টগ্রামে ৪ জুন প্রথম নতুন সংক্রমণ শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপ সামাল দিতে নগরীর জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে চসিক। এর উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র বলেন, ‘আবারও করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। এ কারণে আমরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। জেনারেল হাসপাতালে চালু করেছি ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট। পর্যায়ক্রমে আরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হোসনা আরা বেগম বলেন, ‘আমরা আজ থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছি। এখানে একজন করোনা রোগী সব ধরনের সেবা পাবেন— পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর সুবিধা, র্যাপিড টেস্ট, এমনকি ভ্যাকসিনও দেয়া হচ্ছে।’
চট্টগ্রামে এর আগে করোনার সময় ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল জেনারেল হাসপাতালকে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চলছে করোনা চিকিৎসা।
আরও পড়ুন: এক দিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত কমলো
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি চারটিসহ ১০টির বেশি আরটি-পিসিআর ল্যাবে চলছে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা। সরকারি ল্যাবগুলো হলো—
১. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
২. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
৪. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে মজুদ রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নতুন করে সরবরাহের প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে আবারও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং দ্রুত টিকা গ্রহণই হতে পারে নতুন এই সংক্রমণ ঠেকাতে সহায়ক। পাশাপাশি তারা অনুরোধ করেছেন- জ্বর, সর্দি, কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেই দ্রুত করোনা পরীক্ষা করাতে।
করোনার প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিলেও বর্তমানে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।