বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরী ও ফটিকছড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন।
গ্রেফতার দুজন হলেন: মো. বেলাল (২৭) ও মো. মানিক (২৪)।
বেলালের বাড়ি বান্দরবান জেলায়। তাকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর মানিককে তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ২৯
ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন,
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত শনিবার মধ্য রাতে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে থেকে নেমে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। প্রাইভেটকারে থাকা সরোয়ারসহ আরও চারজনকে লক্ষ্য করে আধঘণ্টা ধরে গুলি চালানো হয়। গুলিতে আব্দুল্লাহ ও মানিকের মৃত্যু হয়। জোড়া খুনের ঘটনাস্থলে কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে বেলাল ও মানিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে তাদের মোটরসাইকেল থেকে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে বিশ্লেষণ করে গুলি চালানো কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। সিসিটিভি ফুটেজে বেলালকে সরাসরি প্রাইভেটকারের দিকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৪ জন সন্ত্রাসী ৭টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এই পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরওয়ার হোসেন বাবলা, যিনি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান। এ হামলার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল। একটি হলো, বায়েজিদ বোস্তামি ও আশপাশের এলাকার অপরাধীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। আর অন্যটি হলো, শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদ গ্রেফতারের প্রতিশোধ নেয়া। গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সরোয়ার ও সাজ্জাদের বিরোধ নতুন মাত্রা পায়।
আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় গৃহবধূ নিখোঁজের ঘটনায় গ্রেফতার ৭
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত বখতেয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।
]]>