চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ, অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাঁচটি

১ সপ্তাহে আগে
চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের জন্য চট্টগ্রামে নগরীর ২০টি স্পটকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সাথে পাঁচটি জায়গাকে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ধরা হয়েছে। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ৭০ শতাংশ রোগীই এসব এলাকার বাসিন্দা। এলাকাগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপসর্গ নিয়ে কেউ রক্ত পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাচ্ছে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব। এমন পরিস্থিতিতে নগরীর ২০টি এলাকায় সবচেয়ে বেশি চিকনগুনিয়া রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জরিপে।


আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ এসব এলাকার বাসিন্দা। এজন্য এলাকাগুলোকে চিকুনগুনিয়ার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে হালিশহর, আগ্রাবাদ, বন্দর, সদরঘাট, ডবলমুরিং এলাকাকে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরইমধ্যে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে সিভিল সার্জন।
 

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বন্দর,সদরঘাট, ডবলমুরিং, খুলশী, বায়েজীদ, চান্দগাও, কোতোয়ালি, ইপিজেড, পাহাড়তলী, চকবাজার, লালখানবাজার, বাকলিয়া, দেওয়ান বাজার, দেওয়ান হাট, ঝাউতলা, আন্দরকিল্লাহ, নাসিরাবাদ, পাঠানটুলী এ বিশটি স্পট চিকনগুনিয়ার জন্য হটস্পট। এ বছর গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় দুই হাজার ১০০ জন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষার বাইরেও হয়তো রয়ে গেছেন অনেকে।আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৭০ শতাংশ এসব এলাকার বাসিন্দা।এসব এলাকার মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলো হালিশহর, আগ্রাবাদ, বন্দর, সদরঘাট ও ডবলমুরিং।

আরও পড়ুন: মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক পাচারে সম্পৃক্ততায় প্রত্যাহার

সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া। কয়েক সপ্তাহ পার হলেও শরীরের ব্যথা কমছে না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা। চিকনগুনিয়ার কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কিত আমরা।’
 

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মাসব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। যে সব এলাকা হটস্পট সেখানে আমরা প্রতিনিয়ত ওষুধ মারছি।নতুন মশার ওষুধ দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধক কার্যক্রম চলছে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় মশার ঘনত্বের সর্বোচ্চ অস্তিত্ব মিলেছে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে একশ ৩৪ দশমিক ছয় দুই শতাংশ।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন