মঙ্গলবার (২৭ মে) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর একটি গার্মেন্টস কারখানা থেকে তৃতীয় দফায় এসব পোশাক জব্দ করা হয়। এর আগে আরও দুই দফায় ৩২ হাজার পোশাক জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নগরীর পাহাড়তলীতে অবস্থিত নূর ফ্যাশন পোশাক কারখানায় দুই মাস আগে ২২ হাজার পিস ইউনিফর্ম অর্ডার দেয় রিংভো অ্যাপারেলস। এর মধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার ইউনিফর্ম তৈরি করে তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃতীয় দফায় পুলিশ গিয়ে ৬৩ বস্তায় ১৫ হাজার পোশাক নিয়ে যায়।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, ইউনিফর্মসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি। বায়েজিদ বোস্তামি থানায় যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলার এজাহার আমরা সংগ্রহ করছি। সেটা দেখে মামলা দায়ের করা হবে।
এর আগে গত ১৭ মে নয়াহাট রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০ ও সোমবার (২৬) একটি গোডাউন থেকে ১১ হাজার ৭৮৫ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইউনিফর্মের গন্তব্য কোথায় তা নিয়ে রহস্যের দানা বাধতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: আরসা এবং কুকি চিন নিয়ে যে বার্তা দিলো সেনাবাহিনী
গতকাল পোশাক কারখানাটিতে অভিযানের পর নুর ফ্যাশনের মালিক মতিউর রহমানকে পুলিশ নিয়ে গেছে।এর আগে রিংভো অ্যাপারেলস এর মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
অন্য কোনো দেশের আনসারের পোষাক বলে অর্ডার দেয়া হয়েছিল বলে জানায় পোশাক কারখানাটির কর্মচারীরা। সেই অনুযায়ী এসব পোশাকের ব্যাপারে কোনো ধারণাই ছিল না তাদের।
এ বিষয়ে পুলিশের কেউ কথা বলতে রাজি না হলেও মামলার এজাহারে ইউনিফর্মগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কেএনএফের উল্লেখ করা হয়। বিস্তারিত তথ্য জানাতেও গড়িমসি করছে সিএমপি। তবে বুধবার এ বিষয়ে আরও অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সিএমপি উপ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।