সম্ভাব্য সাইবার হামলা ঠেকাতে দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগে থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্দেহজনক যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং পুরো বিমানবন্দর এলাকায় টহলও বাড়ানো হয়েছে।
অবশ্য বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় বিমান বাহিনীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্সও সক্রিয় রয়েছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর বলেন, ‘আমাদের এখানে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে টাস্ক ফোর্স রয়েছে। আমাদের ফ্লাইট সেফটি ইমপ্লিমেন্টেশন সেন্টারও রয়েছে। তাই আমার মনে হয়, এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা প্রতিটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক সমন্বয় সাধন করছি।’
আরও পড়ুন: সিভিল এভিয়েশন এখনও চলছে ম্যানুয়ালিই, ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠনের উদ্যোগ
নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় বিমান বন্দরের অবস্থান হওয়ায় আশপাশে রয়েছে বেশ কিছু বসতি। আর তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় সীমানা প্রাচীরেরও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজে লাগানো হচ্ছে আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘নিরাপত্তা পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি আমাদের পেট্রোলিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে কাজ করা সকল নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে টহল সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এদিকে, দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তায় নগরীর বারিক বিল্ডিং হয়ে নিমতলা বিশ্বরোড-কাস্টমস মোড় হয়ে সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় সব ধরনের মিছিল-সমাবেশের ওপর ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপির উপ কমিশনার কবীর আহমেদ বলেন, ‘বন্দরকেন্দ্রিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে, যেমন বারিক বিল্ডিং, তিন নম্বর জেটি গেট। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যদি কোনো মিছিল, সভা বা সমাবেশ হয়, তাহলে দেখা যায় বন্দরে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না এবং বেরও হতে পারে না।’
নগরীর আগ্রাবাদ থেকে পতেঙ্গা উপকূল পর্যন্ত ১০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বন্দর ও বিমানবন্দর ছাড়াও দুটি সরকারি ইপিজেড, পদ্মা-মেঘনা-যমুনার তেল স্থাপনা এবং আরও কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি তেল শোধনাগার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই অঞ্চলটিকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে।
]]>