চট্টগ্রাম বন্দরের বিদেশি ব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে রোডমার্চ, বন্দর ভবনে মিছিল

৪ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানির সম্পৃক্ততা, রাখাইনে মানবিক করিডরের উদ্যোগসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

শনিবার (২৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে এই রোড মার্চ চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এরপর নগরীর বারেক বিল্ডিং মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।


সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের কৌশলগত সম্পদ চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে, যা সরাসরি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। নেতারা দাবি করেন, চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।


বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ নিউমুরিং টার্মিনাল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাতেই পরিচালনা করতে হবে। কোনোভাবেই বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেয়া যাবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকে আত্মঘাতী। আমরা এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।


আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে হবে ফ্রি ট্রেড জোন, আমদানি-রফতানিতে বাড়বে গতি


সমাবেশে রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর স্থাপনের উদ্যোগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত হয়ে পড়া এবং পররাষ্ট্রনীতির বিপরীত। নেতারা স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে করা সব অসম চুক্তি প্রকাশ ও বাতিলের দাবি জানান।


রোড মার্চ ও সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন