চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়ার প্রতিবাদ হেফাজতের

১ সপ্তাহে আগে
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দলটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


তারা বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র। এমন একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে।


নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেয়া যাবে না।


আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
 

এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত এবং অগ্রহণযোগ্য।


হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জনআস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের কৌশলগত সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।


তিনি আরও বলেন, আমরা জোর দিয়ে বলছি, জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে-এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণআন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন