মানববন্ধনে রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা অংশ নেন। এতে দ্রুত মধ্যে মহাসড়ক ছয় লেন করার দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্যরা বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবান যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেয়া হয়। একটি সরু সড়কে এত চাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদেরকে আশ্বাস দেয়া হয় সড়কটি প্রশস্ত করার। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
আরও বলেন, দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই সড়কটি পাড়ার গলির চেয়েও সরু। জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু কিছু জায়াগায় রাস্তা ঢালু এবং আঁকাবাঁকা। রাতে লবণের গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে রাস্তাটা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখি, তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিনহাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম বু্যেরা প্রধান হামিদ উল্লাহ, বিয়াজ উদ্দীন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক শফিকুল আলম,মুজিবুল হক, রুনা আনসারী,আইনজীবী জিয়াউর রহমান,আবু বক্কর সাবিত, ইফতেখার নূর তিশন, মিজানুর রহমান ও সাইমুম আল মুরাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণ গেল বউ-শাশুড়িসহ একই পরিবারের ৩ জনের
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল নগরীতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। গত ১১ এপ্রিল একই দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।