চকরিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণে আটক তাজুলের দায় স্বীকার

৩ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১৫। র‌্যাব ১৫ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া যুবক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে।

একই সঙ্গে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৮ জনের মধ্যে তাজুল ইসলাম নামের একজন কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


র‌্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল এলঅকা থেকে কিশোরীকে ধর্ষণে জড়িত মো. ফারুক (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারুক বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।

আরও পড়ুন: কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ৭ যুবক আটক


মো. কামরুজ্জামান জানান, গত ৫ জানুয়ারি রাতে চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রিজ সংলগ্ন প্যারাবনে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় গণধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও মশাল মিছিল করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দেশীব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাও দায়ের করেন। ঘটনাটি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরপরই গণধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতারে অভিযানে নামে র‌্যাব-১৫। অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় ফারুককে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। ফারুকে চকরিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


অপরদিকে চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮)। বুধবার সন্ধ্যায় চকরিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবিরের সামনে ওই জবানবন্দী দেন ভিকটিমের বাবার দায়ের করা ধর্ষন মামলার প্রধান আসামি তাজুল।


জবানবন্দিতে তাজুল স্বীকার করেছেন তিনি সহ ৬ জন মিলে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাজুলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করে ভিকটিমের পরিবার।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ৩

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এস আই মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘মঙ্গলবার দিনগত ভিকটিমের দেয়া তথ্য অনুসারে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করে। এর আগে পুলিশ হাতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ৮ জনের মধ্যে ৪ জন ঘটনায় জড়িত বলে শনাক্ত করেছে ভুক্তভোগী কিশোরী। দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর মধ্যে তাজুল আদালতে তিনিসহ ৬ জন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে স্বীকার করেছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন