রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি চলে। শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের ফলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামমুখী দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আটকা পড়ে। এতে তীব্র যানজট দেখা দেয়। দূরপাল্লার পর্যটকবাহী গাড়ি ও সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি, সেনাবাহিনী ও ইউএনওর প্রতিনিধি এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
চকরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি ফাহিম বলেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নুসরাত জাহান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ও পুনঃনির্বাচনী পরীক্ষার নামে টাকা আত্মসাৎ করে কলেজে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হয়রানি, শিক্ষকদের হুমকিসহ ক্যাম্পাসে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কলেজে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা এই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ওসি অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক ও থানা অবরোধ
কলেজ শিক্ষকরা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত জাহান কলেজে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করে থাকেন। কলেজের দায়িত্বে স্বেচ্ছাচারিতা ও কলেজে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি ধামকি ও অপেশাদার আচরণ করার কারণে আমরা শিক্ষক- কর্মচারীরা কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করছি। আমরা চাই কলেজে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী হউক।
অভিযোগের বক্তব্য নিতে চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নুসরাত জাহানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, চকরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাথে বিষয়টি সুরাহা করতে আলোচনা চলছে । এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।