ঘেরে ভেসে উঠছে মৃত চিংড়ি, বিপর্যয়ের মুখে সাতক্ষীরার চাষিরা

২ সপ্তাহ আগে
এ বছর চিংড়ি চাষে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার চাষিরা। জেলার ঘেরগুলোতে জাল টেনে মিলছে না চিংড়ির দেখা, যা মিলছে তাও মৃত। নিম্নমানের রেণুই বিপর্যয়ের কারণ অভিযোগ চাষিদের। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, এ বছর ৯০ ভাগ চিংড়ি চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্য বিভাগ বলছে, ঘেরের গভীরতা বাড়ানোর সঙ্গে মানসম্মত চিংড়ি রেণু সরবরাহের জন্য হ্যাচারি মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সাতক্ষীরার ঘেরগুলোতে বাগদা চিংড়ির রেণু ছাড়া হয়। মার্চ ও চলতি মাসে প্রথম দফায় চিংড়ির বাজারজাত করার কথা ছিল। তবে জাল টেনে মিলছে না চিংড়ির দেখা, যা মিলছে তাও মৃত।

 

লোকসান কাটাতে এরই মধ্যে অনেক চাষি নতুন করে রেণু ছাড়া শুরু করেছেন। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাল টেনে দেখা যায় বেশিরভাগ মাছই মৃত। নিম্নমানের রেণুর জন্যই এমন উৎপাদন বিপর্যয়।

 

ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, এ বছর ৯০ ভাগ চিংড়ি চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের সঙ্গে কর্মশালা বা সেমিনার করা দরকার মৎস্য বিভাগের।

 

আরও পড়ুন: ইউরোপ-আমেরিকায় যাচ্ছে উপকূলের টাইগার চিংড়ি, দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি

 

সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বাবলা বলেন, চাষিদের এবার এমন ক্ষতি হয়েছে যে মাছই পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চাষিদের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে। যেখানে নানারকম দিকনির্দেশনা নিয়ে চাষিরা উপকৃত হতে পারবেন।

 

যদিও মৎস্য বিভাগ বলছে, ঘেরের গভীরতা বাড়ানোর সঙ্গে মানসম্মত চিংড়ি রেনু সরবরাহের জন্য হ্যাচারি মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম বলেন, হ্যাচারি মালিকদের বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাপমাত্রা বাড়ায় ঘেরের গভীরতা বাড়ানোর জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর সাতক্ষীরার ৫৪ হাজার ৯৩৫টি ঘের থেকে ২৬ হাজার মেট্রিক টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন