রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনে দুই বছরের প্রবেশন সময়ের মধ্যে আসামি যদি নতুন কোনো অপরাধ না করে তাহলে মৃত্যুদণ্ডকে সাধারণত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। ভালো আচরণের জন্য সাজা আরও কমানো হতে পারে।
চায়না ডেইলি জানিয়েছে, তাং রেনজিয়ানকে আজীবনের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পদ। চাংচুন ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টের রায় অনুসারে, তার অবৈধ আয়ের অর্থ ও সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতের তথ্য মতে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাং রেনজিয়ান গানসু প্রদেশের গভর্নর এবং কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রীর মতো বেশ কিছু পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৬ কোটি ৮০ লাখ ইউয়ান (৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার) ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের মুক্তির দাবি, পেশোয়ারে সমর্থকদের ঢল
রায়ের সময় আদালত বলেন, ‘তাংকে ঘুষের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত। কারণ তার ঘুষের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি, যা দেশ ও জনগণের জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ।’
তবে আদালত বলেছে, তাং নমনীয়তা দেখিয়েছে, স্বেচ্ছায় তদন্তকারীদের অজানা ঘুষের কথা জানিয়েছেন এবং তার অবৈধ অর্থের টাকা হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছেন।
চংকিংয়ের বাসিন্দা ৬৩ বছর বয়সি তাং ১৯৮৩ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯১ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তিনি কয়েক দশক ধরে দেশটির কৃষি খাতে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: চীনে চালু হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতু, ২ ঘন্টার যাত্রা এখন ২ মিনিটেই
২০২৪ সালের মে মাসে দলীয় শৃঙ্খলা এবং জাতীয় আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের সন্দেহে তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়। ছয় মাস পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং সরকারি পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এপ্রিল মাসে তাকে ঘুষের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। জুলাই মাসে আদালত প্রকাশ্যে মামলাটির শুনানি করে।
]]>