ঘুরে আসুন খাগড়াছড়ির 'নিউজিল্যান্ডে'

২ সপ্তাহ আগে
স্বপ্নের দেশ নিউজিল্যান্ড। তবে বাংলাদেশের মধ্যেই নিউজিল্যান্ড নামে আছে একটি এলাকা। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলা শহরেই এক জায়গার নাম নিউজিল্যান্ড।

খাগড়াছড়ি শহরের কেন্দ্রস্থল শাপলা চত্বর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে পানখাইয়া পাড়া। এই পানখাইয়া পাড়ার সীমানা ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে ‘নিউজিল্যান্ড পাড়া’। পানখাইয়া পাড়া থেকে আপার পেরাছড়া গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটি পরিচিত ‘নিউজিল্যান্ড সড়ক’ নামে।


কেন এই নাম ‘নিউজিল্যান্ড’?


এই সড়ক আর চারপাশের প্রকৃতি এতটাই মনোমুগ্ধকর, যে একসময় এক পাহাড়ি ভদ্রলোক রসিকতা করে বলেছিলেন, 'এই হাওয়া তো একেবারে নিউজিল্যান্ডের মতো!' তারপর থেকেই এলাকাবাসী এই জায়গাটির নাম দিয়েছেন ‘নিউজিল্যান্ড’। কথিত আছে, ১৯৯৮ বা ১৯৯৯ সালের দিকে যখন জমির মধ্য দিয়ে কার্পেটিং সড়কটি তৈরি হয়, তখন থেকেই এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। প্রতিদিন বিকেল হলেই মানুষ দল বেঁধে ঘুরতে আসতেন এই এলাকায়। সড়কের দুপাশে বিস্তৃত ধানখেত, দূরে পাহাড়ের সারি আর হালকা বাতাসে দুলতে থাকা ফসলের ঢেউ। সব মিলিয়ে অনন্য এক সৌন্দর্যের জন্ম দেয়।


প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের অপরূপ দৃশ্য


নিউজিল্যান্ড পাড়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি খাগড়াছড়ি শহরের একমাত্র সমতল ভূমি ও ধান্য জমির বিল। এখানে রয়েছে শস্যের সবুজ গালিচা, পাশে গাছগাছালি, দূরে পাহাড়—এক নিটোল প্রকৃতি যেন হাতছানি দেয়। বর্ষার সময় এই সড়কে বসে আলুটিলা পাহাড়ের দিকে তাকালে দেখা মেলে ভেসে বেড়ানো মেঘের ভেলা। রোদেলা দিনে দেখা যায় চমৎকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। আর ধান পাকলে ধানের ক্ষেতে নামে শত শত টিয়াপাখির দল, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা।


এখানে কেবল প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, কাছ থেকে দেখা যায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রাও। তাঁদের বাসগৃহ, খাদ্যাভ্যাস, সংস্কৃতি সবই হয়ে ওঠে পর্যটকের কাছে বাড়তি আকর্ষণ।


আরও পড়ুন: গরমে পাহাড় না সমুদ্র, কোথায় ঘুরতে যাবেন?


কীভাবে যাবেন নিউজিল্যান্ড পাড়ায়?


ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাসে করে যাওয়া যায় খাগড়াছড়ি শহরে। খাগড়াছড়ি পৌঁছে শহরের শাপলা চত্বর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা নিয়ে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় নিউজিল্যান্ড পাড়ায়। জনপ্রতি ভাড়া মাত্র ২০ টাকা।


কোথায় থাকবেন?


খাগড়াছড়ি শহরে রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল, হোটেল গাইরিংসহ বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল। ভিন্ন ভিন্ন বাজেট অনুযায়ী পর্যটকরা সহজেই থাকার জায়গা খুঁজে নিতে পারবেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন