ঘাড় ও পেটের দাগ দেখে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকায় খালে ভেসে আসা এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের নাম আবদুর রহিম। তিনি ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামে ফুফাতো ভাইয়ের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

শনিবার (৩ মে) খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার মিয়া জানান, মরদেহটি পানিতে ফুলে গিয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে শরীরে কোনো জখমের চিহ্ন দেখা যায়নি। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তার হাত বাঁধা ছিল, তবে পরে দেখা যায় সেটি পানিতে থাকার কারণে এমন হয়েছিল।


নিহত রহিমের ফুফাত ভাই মো. নোমান জানান, মরদেহের ঘাড় ও পেটের কাটা দাগ দেখে তারা তাকে শনাক্ত করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর রহিমের বাবা ভোলা থেকে চট্টগ্রামে এসে নোমানের সঙ্গে র‍্যাব কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে চান্দগাঁও থানায় পাঠানো হয়। পরে কোতোয়ালী থানার মাধ্যমে রোববার তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।


রহিমের সহকর্মীরা জানান, গত ১ মে সকালে তারা একসঙ্গে চা খেতে নামলেও রহিম চা না খেয়ে একা বসেছিলেন। বেলা ১১টার দিকে একটি ফোন কল পেয়ে তিনি সাইট থেকে বের হয়ে যান। ফোনে তাকে চান্দগাঁও থানার সামনে যেতে বলা হয়েছিল। এরপর থেকে রহিম নিখোঁজ ছিলেন। দুই দিন পর তার মরদেহপাওয়া যায়।


আরও পড়ুন: নদীতে ডুব দিয়ে জেলে নিখোঁজ, মরদেহ উদ্ধার করল ডুবুরি দল


নোমান জানান, রহিম গত কয়েক মাস ধরে মোবাইলে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন। গত মাসে এক বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আইফোন ও আইপ্যাডসহ চার লাখ টাকার মালামাল পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। এসব মালামাল ঢাকার বিমানবন্দরে এসেছে এবং ছাড় করাতে টাকা লাগবে বলে জানিয়ে রহিমের কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নেয় প্রতারকরা। প্রতিশ্রুত মালামাল না পেয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।


তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ছাদ ঢালাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে রহিমকে ফোন করা হয়। তবে তার দুটি নম্বরের একটিও সে ধরেনি। কখনও ফোন কেটে দিয়েছে, কখনও ফোন বন্ধ করে আবার খুলেছে। এভাবে শুক্রবার পর্যন্ত তার ফোন খোলা পাওয়া যায়।


কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার মিয়া জানান বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা জানতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রয়োজন। তদন্ত চলছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন