ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে পা হড়কাতে চায় না বাংলাদেশ

৩ সপ্তাহ আগে
এবারের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। তবে ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ ড্র করেছে লাল-সবুজের দল, তা-ও আবার তাদেরই মাটিতে। কিন্তু নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে পা হড়কাতে চায় না হাভিয়ের কাবরেরার দল।

এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে বাকি দুই ম্যাচে ভালো ফলের প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ মোরসালিন ও রহমত মিয়া। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে পা হড়কালে সেটা ভীষণ বেমানান হবে বলেও সতীর্থদের মনে করিয়ে দিলেন মোরসালিন। 

 

মোরসালিনের কণ্ঠে এমন দৃঢ়তার পেছনের কারণ সহজেই অনুমেয়। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামেদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদের মতো প্রবাসীরা যোগ হওয়ায় বাংলাদেশ দল এখন আর আগের মতো নেই। 

 

যদিও বাছাইয়ে মেলনি প্রত্যাশিত ফল। আসরে খেলা চার ম্যাচে দুটি করে ড্র ও হারে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ২। কাঙ্ক্ষিত জয়ের খোঁজে জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। 

 

আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের সঙ্গে ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে: রিয়াল মাদ্রিদ কোচ

 

গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে বাছাইয়ে পথচলা শুরু করে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে অনেক সুযোগ নষ্ট না হলে বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরতে পারত দল। পরের তিন ম্যাচের মধ্যে ঘরের মাঠে খেলা দুই ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে যথাক্রমে ২-১ ও ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। 

 

এবার ভারতের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে হেরে বসলে সেটা বিব্রতকর হবে, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) প্রস্তুতিতে নামার আগে সতীর্থদের এ কথায় মনে করিয়ে দিলেন মোরসালিন। 

 

‘ভারতের বিপক্ষে (মার্চে) আমরা ম্যাচটা ড্র করলাম, আমাদের মন আসলে অনেক খারাপ ছিল। যদিও বাকি ম্যাচগুলো হেরেছি বা রেজাল্ট খারাপ হয়েছে, কিন্তু মন খারাপ ছিল ভারতের বিপক্ষে (ওই ড্রয়ে)। আসলে এখন আমাদের দলের যে কন্ডিশন, আমরা আসলে এটা (জয়) ডিজার্ভ করি। আমি মনে করি, পরের ম্যাচটা ইনশাল্লাহ আমরা জিতব।’ 

 

‘আসলে এখন আমরা পিছিয়ে গেছি। তো অন্তত একটা ড্র, একটা জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তো আমরা ওভাবেই (ভাবছি)। ইনশাল্লাহ জিতব। অবশ্যই, অবশ্যই (ঘরের মাঠে ভারতের কাছে হারলে বেমানান হবে)। আমাদের দল এখন ভালো। অবশ্যই আমাদের জিততে হবে। এর বিকল্প আমরা কিছু দেখছি না।’ 

 

আরও পড়ুন: রাশফোর্ডকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করা সমর্থক বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে

 

বাছাইয়ের বাকি দুই ম্যাচ অবশ্য নিয়মরক্ষার। তবে বাংলাদেশের কাছে তা মহাগুরুত্বপূর্ণ। ডিফেন্ডার রহমত মিয়াও বললেন, শেষের পথটুকু তারা পাড়ি দিতে চান ভালো প্রাপ্তির অনুভূতি নিয়ে। 

 

‘আমরা যদি শেষ দুইটা ম্যাচ জিতিও, তাতে আমাদের কষ্ট লাঘব হতে পারে; কিন্তু আমরা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে তো যেতে পারব না, চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। তবে সামনে আরও ভালো করার সম্ভাবনা আছে আমাদের।’ 

 

‘তো এবার যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি, সব খেলোয়াড়ের ভেতর সেই কষ্টটা আছে। পরবর্তীতে আশা করি সবাই আরো ভালো করার চেষ্টা করবে এবং কোয়ালিফাই করার চেষ্টা করবে। যে ম্যাচ চলে গেছে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। সামনে যে ম্যাচগুলো আসছে সেটা নিয়ে ফোকাস করা উচিত।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন