ঘরের মাঠে প্রথমবার দ. আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

২ সপ্তাহ আগে
লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস ও কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হাফ-সেঞ্চুরি করে ডি কক ফিরতেই ধস নামে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডারে। শাহীন শাহ আফ্রিদি, আবরার আহমেদ ও সালমান আলী আগার বোলিংয়ে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান দ্রুত ফিরলেও সাইম আইয়ুবের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজও নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। নিজেদের ইতিহাসে এবারই প্রথমবার ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। 

 

শনিবার (৮ নভেম্বর) ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন ওপেনার ফখর জামান। নান্দ্রে বার্গারের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। টানা দুই ম্যাচেই ডাক মেরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। 

 

আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলো শেষ টি-টোয়েন্টি, সিরিজ জিতলো ভারত

 

ফখর ফেরার বাবর আজমের সঙ্গে জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব। তাদের দুজনের ব্যাটেই পাওয়ার প্লে পার করে পাকিস্তান। যেখানে এক উইকেটে ৫৯ রান তোলে তারা। 

 

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সাজঘরের পথ ধরেন বাবর। রান আউট হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ২৭ রান। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন সাইম। এক পর্যায়ে ৩৯ বলে তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি। তাদের দুজনের ৬৫ রানের জুটি ভাঙে সাইমের বিদায়ে। 

 

১১ চার ও এক ছক্কায় ৭০ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বিজর্ন ফরটুইনের বলে আউট হয়ে ফেরেন সাইম। এরপর সালমানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৩২ রান করে। আরেক ব্যাটার সালমান ২ বলে ৫ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফরটুইন ও বার্গার। 

 

আরও পড়ুন: আবুধাবি টি-টেন লিগে র‌য়েল চ্যাম্পসকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব

 

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন প্রিটোরিয়াস ও ডি কক। যেখানে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে তারা দুজনে তোলেন ৪৭ রান। তাদের জুটি ভাঙেন সালমান। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় লং অফে বাবরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৯ রান করা প্রিটোরিয়াস। তার একটু পরই ফিরেছেন তিনে নামা টনি ডি জর্জি। ২ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন সালমান। 

 

দ্রুত দুই উইকেটে হারানোর পর ৬৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি এই ওপেনার পরবর্তীতে আউট হয়েছেন ৫৩ রানে। ডি কক ফেরার পর ধস নামে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপে। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা। পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন আবরার। ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন সালমান ও শাহীন আফ্রিদি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন