বিবৃতিতে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কোনো নৌকাই ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা আইনসম্মত নৌ-অবরোধ লঙ্ঘন করার প্রচেষ্টা সফল হয়নি’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সব যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। তারা নিরাপদে ইসরাইলে যাচ্ছেন, যেখান থেকে তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘তবে একটি জাহাজ এখনও যাত্রা করছে। সেই জাহাজ যদি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের চেষ্টা করে ও অবরোধ লঙ্ঘনের চেষ্টা করে তবে সেটিকেও আটক করা হবে।’
আরও পড়ুন: ত্রাণবহর ফিলিস্তিনিদের কোনো উপকারে আসবে না: ইতালির প্রধানমন্ত্রী
এর আগে ফ্লোটিলা ট্র্যাকার জানিয়ছেল, গাজাগামী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি নৌযানের মধ্যে মাত্র চারটি নৌযান গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বাকি নৌযানগুলো ইসরাইল আটক করেছে।
এতে বলা হয়, মাত্র চারটি নৌযান এখনও গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বাকি ৪০ টি নৌযান ইসরাইলের হাতে আটক হয়েছে।
গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ফ্লোটিলায় প্রথমবারের মতো সরাসরি বাধা দেয় ইসরাইলি বাহিনী। বহরের বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে ইসরাইলি নৌ সেনারা। বন্ধ করে দেয়া হয় নৌযান থেকে চলা সরাসরি সম্প্রচার।
আরও পড়ুন: গাজাগামী ত্রাণবহর আটক: কুয়ালালামপুরে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট নৌযান ছিল ৪৪টি। এগুলোতে প্রায় ৫০০ মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ম্যান্দলা ম্যান্ডেলাও আছেন।
]]>