সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আর্থিক সাময়িকী গ্লোবাল ফাইন্যান্স প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৫’ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের গভর্নর নুয়েন থি হং সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন। আর শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল উইরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মূল্যায়নে বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার পেয়েছিলেন ‘ডি’ গ্রেড। ফলে এবারের প্রতিবেদনে ড. আহসান এইচ মনসুর ‘সি’ গ্রেড পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান এক ধাপ উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে: গভর্নর
গ্লোবাল ফাইন্যান্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ড. আহসান এইচ মনসুরের নীতি-দিকনির্দেশনা যুক্তিসংগত হলেও বাস্তবায়নের গতি তুলনামূলক ধীর। জনগণের আস্থা পুরোপুরি ফিরে না আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি প্রয়োগে কাঙ্ক্ষিত ফল দৃশ্যমান নয়।
অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, ‘সি’ গ্রেড মানে নীতিগত দিক সঠিক পথে থাকলেও এর কার্যকারিতা বা বাস্তব পরিবর্তনের প্রতিফলন এখনো স্পষ্ট হয়নি।
মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ অনিয়ম, ডলারের অস্থিরতা ও রিজার্ভসংকট এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, আর দেউলিয়া আইন ও ব্যাংক পরিচালনায় জবাবদিহি বৃদ্ধিতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে রিপো রেট ৮.৫ থেকে ১০ শতাংশে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি ৩.৯ শতাংশে নেমেছে; যা গত এক দশকের গড় ৬ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে সংস্কারের বাস্তবায়নই এখন গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের মূল চ্যালেঞ্জ।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের দায়িত্ব পান ড. আহসান এইচ মনসুর।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·