আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী কলম বিরতি পালন করেন জেলায় কর্মরত কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় জেলার কৃষি বিভাগের সব প্রকার দাপ্তরিক থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের যাবতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর উপর ছাত্রদল নেতার ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারই প্রতিবাদে বিসিএস কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার একঘণ্টার কলম বিরতি পালন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সারা দেশের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব-স্ব অফিসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মেরে পদ হারালেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট থানায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও তার সহযোগী ফজলুকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের আজ ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি, এটা দুঃখজনক। আমরা এই আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, সারাদেশের কৃষি দপ্তরগুলো একযোগে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হবো আমরা।’
এবিষয়ে শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘নকলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা আসামীদের গ্রেফতারের আওতায় এনে আদালতে হাজির করতে পারব।’
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর কৃষি প্রণোদনার তালিকায় পছন্দের লোকদের নাম না থাকায় নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও তার সহেযাগীরা। ঘটনার সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই দিন রাতেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী বাদী হয়ে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মওলানার ছেলে রাহাত হাসান কাইউম এবং একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে ফজলুকে আসামী করে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এর সিদ্ধান্তে দপ্তর সম্পাদ জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইউমকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·