গ্রিসের এক দ্বীপে ৮ শ’র বেশি ভূমিকম্প, জরুরি অবস্থা জারি

১ মাস আগে
গ্রিসের আগ্নেয়গিরি দ্বীপ ও অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী সান্টোরিনিতে একের পর এক ভূমিকম্প অব্যাহত রয়েছে। ফলে দ্বীপটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি পরিষেবা ও হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সান্টোরিনি দ্বীপে গত ৩১ জানুয়ারি ভূমিকম্প শুরু হয়। এরপর এখন পর্যন্ত ৮ শতাধিক কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পগুলোর বেশিরভাগই ৩ ও ততোধিক মাত্রার। 

 

এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় গত ৫ ফেব্রুয়ারি। এথেন্স, ক্রিট ও তুরস্কের কিছু অংশেও এই কম্পন অনুভূত হয়। একের পর এক ভূমিকম্পে পুরো অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে অসংখ্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।  

 

ধারণা করা হচ্ছে, এই ধারাবাহিক ভূমিকম্প আরও কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত সপ্তাহে দ্বীপটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস, যা আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।

 

আরও পড়ুন: ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

 

জরুরি অবস্থা ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস দ্বীপের দক্ষিণ থেকে জরুরি স্থানান্তর পথ তৈরির জন্য ৩০ লাখ ইউরো সহায়তার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সবচেয়ে ভালোটার আশা করছি।’

 

একের পর এক ভূমিকম্পের মধ্যে হাজার হাজার বাসিন্দা, মৌসুমী কর্মী ও পর্যটক সান্টোরিনি দ্বীপ ও নিকটবর্তী দ্বীপপুঞ্জ আমোরগোস, আনাফি ও আইওস থেকে পালিয়ে গেছেন। এই অঞ্চলে সমুদ্রতলে ২০০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

 

সান্টোরিনি দ্বীপ ও এর আশপাশে ছোট ছোট দ্বীপগুলো বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জন্য পরিচিত। তবুও পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বীপপুঞ্জগুলোর অন্যতম সান্টোরিনি। এর জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। প্রতিবছর এখানে অসংখ্য পর্যটক ঘুরতে আসেন। ২০২৩ সালে দর্শনার্থীর ছিল ৩৪ লাখ। 

 

আরও পড়ুন: গ্রিসে পরপর ১৩ ভূমিকম্পের আঘাত, অসংখ্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন