জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেছেন, ‘সীমানার অখণ্ডতার নীতি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তা খুব ছোট বা খুব শক্তিশালী দেশ যাই হোক না কেন।’
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ নোয়েল ব্যারোট বলেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে কখনই বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সার্বভৌম সীমান্তে আক্রমণ করতে দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার আগে গত কয়েকদিন ধরে কানাডা, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড নিয়ে একাধারে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন ট্রাম্প। গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নাম পাল্টে ‘মেক্সিকান আমেরিকা’ রাখার পরামর্শ!
সবশেষ গত মঙ্গলবারও স্বায়ত্তশাসিত ডেনিশ অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অভিলাস ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে।
ট্রাম্পের জবরদখলের হুমকির মধ্যে গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গ্রিনল্যান্ড সফর করেন তার বড় ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র। এই সফরে ডেনমার্কের মালিকানাধীন আর্কটিক দেশটি নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও একই কথা বলছেন। এমনকি প্রয়োজন হলেও সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিও ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহত ১৩
তবে গ্রিনল্যান্ডের নেতারা ট্রাম্পের এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মুট এগিদ বলেন, ‘আমরা বিক্রির জন্য নই ও ভবিষ্যতেও বিক্রি হব না। গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের জনগণের।’ তিনি ডেনমার্কের কাছ থেকে তার দেশকে স্বাধীন করার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন।
]]>