মুন্সীগঞ্জের চরআব্দুল্লাহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুব আলম জানান, মেঘনায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ২০০-৩০০ শ' গ্রামবাসী হামলা চালায়। এ সময় বালু উত্তোলনকারীরাও চড়াও হলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে দ্রুত ড্রেজার ও বাল্কহেড নিয় পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি বালু মহল ইজারাদা দিয়ে গ্রামবাসীদের সর্বনাশ করেছে প্রশাসন। শত শত ড্রেজার ও বাল্কহেট এসে নদীর মাঝখানের পরিবর্তে মেঘনা তীরের ডুবন্ত ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। নদীতীরে দিনরাত বালু কাটার কারণে ভিটেমাটি হুমকিতে। কিন্তু প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকায়। গ্রামবাসীদের বাধা এবং প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বালুলুটকারীদের ধাওয়া দেয়।
আরও পড়ুন: তিনি দিনে পুলিশ, রাতে বালু লুটপাট চক্রের ‘ত্রাণকর্তা’
চরআব্দুল্লাহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, মনির ইন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে বালু মহল হিসেবে ইজারাদার নিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে বর্ষার পানিতে ডুবন্ত ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে।
এব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বালু খেকোদের কোনো আঁতাত নেই। বালু মহল ইজারা দেয়া হয়েছে ভাসান চরে। কিন্তু বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল অন্য এলাকায়।
আরও পড়ুন: অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট
তবে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
]]>