আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রশিদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার,জানান, কারখানায়
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত ১লা মার্চ থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১১শ' টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া একই কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য দুটি বেতন কাঠামো রয়েছে-যা বৈষম্যমূলক। শুধুমাত্র টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের মজুরি স্কেলে রেখে বাকি সবাইকে বেতন-ভাতা দেয়া হয় জাতীয় পে স্কেলে। যাদের পরিশ্রমে কারখানা সচল থাকে তাদের সঙ্গে এই বৈষম্য মানা যায় না।
তাই মজুরি স্কেল বাতিল করে জাতীয় পে স্কেলে টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: বিয়ে না করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়তে হলো চীনা যুবককে, তবুও ছাড়েননি হাল
শ্রমিক কর্মচারীরা আরো জানান, আমদানি করা সারের দাম প্রতি কেজি ৭০ টাকা। অথচ এই কারখানায় উৎপাদিত সারের খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০টাকা কেজি। তারা বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে সার আমদানি বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়া পুনরায় চালুর দাবি জানান।
দাবি না মানা হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরপর ৩টি গুলিতে লুটিয়ে পড়েন বিএনপি নেতা, পাঠানো হলো ঢাকায়
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ শত মেট্রিক টন সার উৎপাদন করা হয়। কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক গড়ে সাড়ে ৪ কোটি টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে। বেকার সময় পার করছেন কারখানার অন্তত ৩৮০ জন শ্রমিক কর্মচারী।

১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·