রোববার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে দুপুর ৩টার দিকে মারা যায় তার ৪ বছর বয়সি মেয়ে তানজিলা।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, মানসুরার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সাথে শ্বাসনালীও পুড়ে যায়। চিকিৎসাধীন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল তাকে। সেখানেই রাতে মারা গেছেন তিনি।
ডা. শাওন আরও জানান, এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও ৩ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: আফতাবনগরে গ্যাস বিস্ফোরণ, দগ্ধ শিশু তানজিলার মৃত্যু
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকায় একটি তিনতলা বাসার নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ হন মানসুরা আক্তার, স্বামী তোফাজ্জল হোসেন (৩২), তিন মেয়ে তানিশা (১১), মিথিলা (৮) ও তানজিলা (৪)।
মানসুরার মেয়ের জামাই মো. রিপন জানান, ওই বাসাটির পাশে একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে কাজের সময় গ্যাস লাইনের লিকেজ হয়। সেখান থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। ঘটনার দিন সকালেও বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়। তবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরবর্তীতে সেদিন রাতে বাসায় মশার কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ হয়। এতে পরিবারটির ৫ জন দগ্ধ হন।
তোফাজ্জল পেশায় একজন দিনমজুর। ৪ কন্যা সন্তানের জনক তিনি। ঘটনাটিতে স্বামী-স্ত্রীসহ তার ছোট ৩ মেয়েই দগ্ধ হয়েছে। স্বামীর বাড়িতে থাকায় ভাগ্যক্রমে আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন বড় মেয়ে।
]]>