রোববার (১১ মে) ভোরে অ্যালিয়াঞ্জ ফিল্ডে মিনেসোটার কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ইন্টার মায়ামি। বৃথা গেছে লিওনেল মেসির গোল।
প্রথমার্ধে বঙ্গকুহলে হ্লঙ্গুয়ানে ও অ্যান্থনি মারকানিখের গোলে এগিয়ে যায় মিনেসোটা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মেসির গোলে ব্যবধান কমায় ইন্টার মায়ামি। কিন্তু মারসেলো ভেইগান্দথের আত্মঘাতী গোলে ফের এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর রবিন লডের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিনেসোটা।
এদিন বলের দখলে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল মায়ামি। ৭৪ শতাংশ সময় বল হেরনদের দখলে ছিল। গোলে শট তারাই বেশি নিয়েছে, কিন্তু লক্ষ্যে বেশি শট রাখতে পেরেছে মিনেসোটা। মায়ামি ১০টি শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখলেও মিনেসোটা ৮টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রেখেই ৪টি গোল আদায় করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: হামজা কি আবার প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবেন?
১১ মিনিটেই মেসির ভুলে মায়ামির জালে বল পাঠিয়েছিলেন মিনেসোটার ওলুয়াসেয়ি। কিন্তু অফসাইডের কারণে সে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। কিন্তু ৩২ মিনিটে রক্ষণভাগের ভুলের মাশুল দিতেই হয়েছে মায়ামিকে। হ্লঙ্গুয়ানে গোল করে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের।
হোয়াকুইন পেরেরা মায়ামির ডানপ্রান্তেচার খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে অরক্ষিত হার্ভেকে বল বাড়ান। হার্ভে ফাঁকায় দাঁড়ানো হ্লঙ্গুয়ানেকে পাস দেন। ছয় গজের বক্স থেকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দ্যে বল জালে পাঠান এই দক্ষিণ আফ্রিকান। ছয় মিনিট পরেই গোল শোধের সুযোগ পায় মায়ামি। কিন্তু মেসির নেয়া শট মিনেসোটার গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন।
৪২ মিনিটে কর্নার পায় মিনেসোটা। পেরেরার নেয়া কর্নারে ওলুয়াসেয়ির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় স্বাগতিকরা।
মায়ামির অর্ধে থ্রো-ইন থেকে লম্বা করে বাড়ানো বল নিকোলাস রোমেরোর মাথা ছুঁয়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো মারকানিখের কাছে যায়। হেডে বল জালে পাঠান তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মিনেসোটা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান কমায় মায়ামি। বাঁ প্রান্ত থেকে জর্দি আলবার পাস পান মেসি। ডি-বক্সে জায়গা করে নিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান মায়ামির অধিনায়ক।
চলতি মৌসুমে লিগে ৮ ম্যাচে পঞ্চম গোলের দেখা পেলেন মেসি। করেছেন ২টি অ্যাসিস্টও। সব মিলিয়ে এটি মায়ামির জার্সিতে মেসির ৪৩তম গোল। ৫৩ ম্যাচ খেলে ২৩টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মেসির মতো একজন হয়ে উঠবেন ইয়ামাল: ডেভিড বেকহ্যাম
৬৮ মিনিটে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন মায়ামির মারসেলো। মিনেসোটার কর্নার থেকে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠান তিনি। ফলে ফের ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি।
৭০ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান লড। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা করে বাড়ানো বল মায়ামির নোহা অ্যালেনকে হারিয়ে দখলে নেন ওলুয়াসেয়ি। এরপর মাইনাস করেন তিনি। অতর্কিতে দৌড়ে এসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে মায়ামির গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লড।
৭২ মিনিটে মেসির আরও একটি প্রচেষ্টা থামিয়ে দেন মিনেসোটার গোলরক্ষক।
এমএলএসে যোগ দেয়ার পর এটাই মেসির সবচেয়ে বড় হার। চলতি মৌসুমে সব কম্পিটিশন মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হারের মুখ দেখল মায়ামি। এই হারের পর ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১১ ম্যাচে ৬টি জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে মেসির দল। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কলম্বাস ক্রু।
১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে দ্বিতীয় স্থানে মিনেসোটা।