অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদ এবং ড্রাগ সুপার বিথী রানী মণ্ডল।
কোনো ধরণের চিকিৎসা সনদ বা প্রশিক্ষণ না থাকলেও রেজাউল করিম তার নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখে ব্যবস্থাপত্র দিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি রোগী ভর্তি রেখে অস্ত্রোপচারও করেছেন। অভিযান পরিচালনাকালে অস্বাস্থ্যকর টিনশেড দোকানে রোগী ভর্তি রাখা, লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি এবং বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুত করার প্রমাণও মেলে।
এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রেজাউল করিমকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি তার ক্লিনিক সিলগালা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে ১৬ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তার জরিমানা
ডা. রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, স্থানীয় ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে মাতৃমৃত্যু, অঙ্গহানি এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছিলেন। তবে প্রমাণের অভাবে এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আজকের অভিযানে অবশেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।