এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রান করেন গিল। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক টেস্টের উভয় ইনিংসে দেড়শর বেশি রান করেছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করে ভারত জয় পেয়েছে ৩৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
অধিনায়ক হিসেবে এজবাস্টনে পাওয়া জয়টা গিলের প্রথম। এই টেস্টের ২ ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করায় সিরিজে এখন গিলের রান ৫৮৫, হাতে এখনও বাকি ৩ টেস্ট। ঐতিহ্যবাহী লর্ডসেও ভারত দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অধিনায়কের কাছে থেকে দারুণ কিছু আশা করছে।
ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে হলে গিলকে থামাতেই হবে ইংলিশদের। লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে নামার আগে ইংলিশরা কি গিলকে থামাতে আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা করেছে?
আরও পড়ুন: বুমরাহ না থাকলেই বেশি জেতে ভারত!
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসের দাবি, তারা ভারতের অধিনায়ককে থামাতে পরিকল্পনা করে ফেলেছে। লর্ডস টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, দেখুন, আমরা ভারতের সব ব্যাটারকে নিয়েই পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু ভালো খেলোয়াড়রা ভালো খেলতেই পারে — আর ও (গিল) প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ খেলেছে।'
এই টেস্ট দিয়ে চার বছর পর জাতীয় দলের সাদা জার্সি গায়ে তুলছেন জোফরা আর্চার। তার ব্যাপারে স্টোকস বলেন, 'আমার মনে হয়, এই সময়কালে চোটজনিত বাধাগুলো যেভাবে সে (জোফরা আর্চার) সামলেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আর যেভাবে সে নিজেকে আবার মাঠে ফিরিয়ে এনেছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিকেট খেলছে— সেটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।'
আর্চারকে নামানোর এটাই সেরা সময় বলে মনে করেন স্টোকস, 'যখন আপনি একটানা টেস্ট খেলবেন, এক পর্যায়ে আপনার মনে হবে তরতাজা কাউকে সুযগ দেয়ার এটাই সময়। এটা রোমাঞ্চকর যে আপনার জোফরার মতো কাউকে ডাকার সামর্থ আছে। আমার মনে হয়, সে যখনই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলে–এমনকি সংক্ষিপ্ততম সংস্করণেও–এটা নিশ্চিত যে, যখনই সে হাতে বল নেয় খেলার পরিস্থিতি বদলে যায়। আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষও এটাই অনুভব করে, কারণ তারাও জানে সে কী করতে পারে।'
ইংল্যান্ডের একাদশ: জ্যাক ক্রাওলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, ব্রেয়ডন কার্স, জোফরা আর্চার ও শোয়াইব বশির।
]]>