অভিযোগ উঠেছে, বিপুল ঋণ শোধ করতে না পারায় পাওনাদাররা লাগাতার ‘হত্যার হুমকি’ দিচ্ছিল প্রবীণ মিত্তল ও তার পরিবারকে।
মৃতের মামাতো ভাই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ব্যবসায় লোকসানের জেরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ঋণে জড়িয়ে পড়ে পরিবারটি। যার জেরেই এই ‘গণ-আত্মহত্যা’র ঘটনা।
সন্দীপ নামে মৃতের ওই ভাই গণমাধ্যমকে জানান, হিমাচল প্রদেশে প্রবীণের একটি স্ক্র্যাপ কারখানা ছিল। তবে ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে না পারায় তা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। দেনার জেরেই হিসার ছেড়ে পঞ্চকুলায় চলে আসে পরিবারটি। এমনকি একটা সময় তারা দেরাদুনেও চলে যায়। গত ৫ বছর ধরে ওই পরিবার কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি।
বলা হচ্ছে, বিপুল টাকার ঋণ পরিবারটিকে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু দিকে ঠেলে দিয়েছে। ওই আত্মীয়ের দাবি অনুযায়ী, ঋণে জর্জরিত হয়ে প্রবীণ মিত্তল শেষে ট্যাক্সি চালানোর কাজও করছিলেন। ব্যাংক তার দুটি ফ্ল্যাট, কারখানা ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল।
সন্দীপের দাবি, ৫ দিন আগে শেষবার প্রবীণের সঙ্গে কথা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাড়ির ভেতর ৬ মরদেহ, বাইরে থাকা সপ্তম ব্যক্তি বলেন ‘৫ মিনিটে আমিও মারা যাব!’
গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, নিজের ‘সুইসাইড নোটে’ মিত্তল জানিয়ে গেছেন যে তার মামাতো ভাই সন্দীপ যেন তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
প্রতিবেদন মতে, সোমবার (২৬ মে) রাতে পঞ্চকুলায় একটি পার্ক করা গাড়িতে তিন শিশুসহ ছয়জনের মরদেহ পাওয়া যায়। তারা সবাই বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়ও ওই পরিবারের সপ্তম সদস্য গাড়ির বাইরে বসেছিলেন এবং বলছিলেন, ‘পরবর্তী পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনিও মারা যাবেন’। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
মৃতরা হলেন, প্রবীণ মিত্তল (৪২), তার বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে ও এক ছেলে।
সূত্র: এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন
]]>