সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই প্রযুক্তি চালুর ফলে টোল আদায়ে সময় সাশ্রয় হবে এবং গাড়ির চাপের কারণে টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ লাইন বা যানজটও কমে আসবে।
ইটিসি সিস্টেম ব্যবহার করতে হলে প্রথমে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ থেকে “D-Toll” অপশনে গিয়ে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও প্রিপেইড রিচার্জ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর নির্ধারিত আরএফআইডি বুথে (Radio Frequency Identification) গাড়ির ট্যাগ চেক ও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রক্রিয়া শেষ হলে ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালিয়ে ইটিসি লেন ব্যবহার করা যাবে।
গাড়ি টোল প্লাজার কাছে আসা মাত্র আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে টোল কেটে নেয়া হবে। এতে চালকদের টোল বুথে দাঁড়াতে হবে না।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ কেন বন্ধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল
সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জনসাধারণের একটি গাড়ি চলন্ত অবস্থায় সফলভাবে টোল পরিশোধ করে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাইভ পাইলটিং চলাকালে কিছু ক্ষেত্রে সফলতা মিললেও কয়েকটি ক্ষুদ্র ত্রুটি দেখা দিয়েছে, যা সমাধান করা হবে।
ম্যানলেস, ক্যাশলেস ও নন স্টপ গাড়ির এই টোল পদ্ধতিতে খুশি এই সুবিধা নেয়া গাড়ির আরোহীরা।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা বিবিএ এর অতিরিক্ত পরিচালক শেখ ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমরা গতকালই জানিয়েছিলাম এবং আজকের সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে যে পদ্মা সেতুতে নন-স্টপ ইটিসি টোল কালেকশন সিস্টেম আজ দুপুর ২টা থেকে লাইভ পাইলটিং শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে আমরা সফলতা পেয়েছি, যদিও কিছু ক্ষুদ্র ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলতে থাকবে। আশা করছি আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এটি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে। এরপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্বোধন করা হবে। সম্ভবত ১ অক্টোবর অথবা নির্ধারিত অন্য কোনো তারিখ থেকে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে লাইভ চালু হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দুর্নীতি: ফের অনুসন্ধানে দুদক, মিললো মোশাররফের তথ্য-উপাত্ত
২০২২ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর দুই প্রান্তে মোট ১৫টি টোল লেন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রান্তে দুটি করে মোট চারটি লেনকে ইটিসি সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। বাকি ১১টি লেনে আগের মতো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় কার্যক্রম চলবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ দেশের সড়ক অবকাঠামোয় ডিজিটাল রূপান্তরের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য সেতু ও মহাসড়কেও সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে।
]]>