স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর মুরাদ বেপারী নববধূ সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মোটরসাইকেলে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন কনের ভাই মারুফ। পরে তিনি নববধূকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। প্রকাশ্যে বোনকে এভাবে তুলে নেয়ায় এলাকায় বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বর মুরাদ টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পুরা গ্রামের মৃত শফি বেপারীর ছেলে। কনে সুমাইয়া সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার পুকুরপাড়া দক্ষিণ রামগোপালপুর এলাকার মোহাম্মদ সুমনের মেয়ে। প্রায় ছয় মাস আগে তাদের কাবিন হয়েছিল। শুক্রবার ছিল আনুষ্ঠানিক বিয়ের অনুষ্ঠান।
মুরাদ বেপারী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিয়ে করা স্ত্রীকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র খাবার নিয়ে ঝগড়ার জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: প্রেমিকের দেখা পেতে বাসে উঠে ঘুম, ঢাকায় পৌঁছে বিপদে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী
অন্যদিকে কনের ভাই মোহাম্মদ মারুফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অন্যায় করেছে বরের পরিবার, অথচ দোষ চাপাচ্ছে আমাদের ওপর। কাবিন হয়েছিল ছয় মাস আগে। আমি প্রবাস থেকে ফেরার পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতা ছিল। বরযাত্রী আসার কথা ছিল ৫০ জন, কিন্তু এসেছেন ৮০ জনেরও বেশি। ফলে খাবার পরিবেশন নিয়ে সমস্যা হয়। আমরা বিনয়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলি। কিন্তু তারা রাগ করে ১৫ জনকে না খাইয়ে চলে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন সেদিন পার্লার থেকে সাজুগুজু করে বাসায় ফিরছিল। তখন বরের পরিবার জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে নিতে চাইছিল। আমার বোন সম্মানের খাতিরে নিজের বাড়ি থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বরের পরিবার তা মানেনি। পরে আমরা খবর পেয়ে বোনকে নিয়ে আসি।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। সম্ভবত এটি পারিবারিক ব্যাপার, অভিযোগ করার মতো কিছু ঘটেনি।’
]]>