রোববার (৪ মে) সকাল ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, পারভিনের শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা গেছেন তিনি। বর্তমানে তানজিলা (১০) নামে এক শিশু ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে, গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয় তাসলিমা আক্তার (৩০) তাসলিমার মেয়ে তানজিলা (১০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সিমা (৩০), পারভিন (৩৫) ও পারভিনের দেড় বছরের ছেলে আইয়ান।
আরও পড়ুন: রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমার মৃত্যু
আইয়ানের চাচা আরিফ হোসেন জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায়। আইয়ানের বাবা মাজহারুল ইসলাম পোশাক শ্রমিক আর মা পারভীন গৃহিনী। ঘটনার দিন ছেলেকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন পারভিন৷ হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে আগুন লেগে মা ছেলে দগ্ধ হয়।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রোমান জানান, গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসাটিতে রান্না করছিলেন আয়নের মা পারভিন। তখন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিশুসহ তারা পাঁচজন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
]]>